এখন গরমের সময় । ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি এবং লবণ শরীর থেকে বের হয়ে যায় । শরীরে পানি শূন্যতা সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয় । তাই এ সময়ে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে আপনি থাকতে পারেন সুস্থ ।
১) প্রথম কথা প্রচুর পরিমাণে ফুটানো পানি খাবেন ( প্রায় ৫ লিটার ) । চায়ের দোকানের ফিল্টার পানি খাবেন না । কারণ তা সত্যিকারের ফিল্টার নাও হতে পারে ।
২) দুপুর বেলা ১ গ্লাস পানিতে সামান্য লেবু ও লবণ দিয়ে খাবেন । তাতে ভিটামিন সি ও লবণ পানির অভাব মিটবে ।
৩) বাহিরের কোন খোলা খাবার একেবারেই খাবেন না । যেমন – আখের রস । আখের গায়ে দেখবেন লাল ছত্রাক থাকে । এগুলো খেলে ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ।
৪) ফুটপাতের সস্তা চা খাবেন না । লাশ যাতে না পচে তার জন্য ব্যবহার করা হয় চা । আর এই চা-ই অত্যন্ত সস্তায় কালবাজারে বিক্রি করা হয় । আপনি যে সেই চা-ই খাচ্ছেন না তা কি হলপ করে বলতে পারেন ?
৫) হোটেলের পুরি সিঙ্গারা জিলাপি না খাওয়াই ভাল । কারণ তারা পয়সা বাচাতে আগের দিনের তেল ব্যবহার করে । আর গরম তেল একবার ঠান্ডা হয়ে গেলে সেখানে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমা হয় । পরে তা গরম দিলেও শরীরের জন্য বিষাক্ত হয় ।
৬) আর এই গরমে সব চাইতে ক্ষতিকর হল ধূমপান । কারণ ধূমপানের কারণে শরীরকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে হয় । যার জন্য আপনাকে ভবিষ্যতে যথেষ্ট মুল্য দিতে হতে পারে ।
৭) নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের জন্য ঠান্ডা খাবার খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ । কারণ খাবার ঠান্ডা হয়ার সাথে সাথেই ব্যাকটেরিয়া এসে জমা হতে শুরু করে । তাই খাবার বেশ ভালভাবে গরম করে খাবেন ।
৮) গরমে কখনই রাগ করবেন না বা উত্তেজিত হবেন না । তাহলে গরম বেশি লাগবে । তাছাড়াও অনেক মারাত্নক কিছুও হতে পারে । পৃথিবীতে বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই উত্তেজিত অবস্থায় হয়ে থাকে ।
৯) গরমে ঘামের জন্য বিরক্ত হবেন না । ঘাম রক্ত বাঁচায় । শরীর থেকে জীবাণু বের করে দেয় ।
১০) যে জামা-কাপড় ঘামে ভিজে গেছে তা কখনই পরের দিন পরিধান করবেন না । কারণ ঘামের সাথে যে জীবাণু বের হয় তা কাপড়ের সাথে থেকে যায় । সবচেয়ে ভাল হয় ডেটলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে ।
১১) রোদের সময় সানগ্লাস এবং ধুলার জন্য মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন । কানের জন্যও এখন অনেক কিছু পাওয়া যায় । শহরে সুস্থ থাকতে হলে এগুলো খুব দরকার ।
১২) টাকা গুনে খাবারের আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধোবেন । পুরনো নোটে প্রচুর জীবাণু থাকে । ঘাম থেকেই বেশি ছড়ায় ।
১৩) পাবলিক টয়লেটে মাস্ক এবং টিসু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন । গরমে অণুজীব খুব দ্রুত ছড়ায় ।
১৪) যাত্রীবাহী পুরনো বাসের সিটে প্রচুর জীবাণু থাকে । এসব বাসে চলাচল করার পর সাবান দিয়ে হাত-মুখ ভাল করে ধুয়ে নিবেন ।
১৫) মশাড়ি ছাড়া কখনই ঘুমাবেন না । কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমানো খুব বিপদজনক । এতে ফুসফুস সহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্তঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।
গরমে পরজীবীদের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় । তাই এসময় খুব সাবধানে থাকা প্রয়োজন । সামান্য অসাবধানতাই হাসপাতাল পর্যন্ত গড়াতে পারে ।