Home | Menu | Poem | Jokes | Games | Science | Biography | Celibrity Video | Dictionary

মহা বিস্ফোরণের ইতিহাস

মহাবিশ্বের গঠন এবং এর সাথে তত্ত্বীয় উপাদানসমূহের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা থেকেই মহা বিস্ফোরণ তত্ত্বের উৎপত্তি হয়েছে। মহাকাশ পর্যবেক্ষকরা দেখতে পান যে অধিকাংশ কুণ্ডলাকার নীহারিকা পৃথিবী থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। অবশ্য বিশ্বতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর ব্যাখ্যা আরও পরে হয়েছে, বর্তমানকালে আমরা জানি, যে নীহারিকাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, সেগুলো আসলে নীহারিকা নয়, বরং আমাদের আকাশগঙ্গার বাইরের ছায়াপথ ছিল। বেলজিয়ামের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক জর্জ ল্যমেত্র্‌ ১৯২৭ সালে প্রথম স্বাধীনভাবে আইনস্টাইনের ক্ষেত্র সমীকরণ থেকে ফ্রিদমান সমীকরণসমূহ উপপাদন করেন। আইনস্টাইন সাধারণ আপেক্ষিকতার জন্য এই ক্ষেত্র সমীকরণগুলোর গোড়াপত্তন করেছিলেন। ফ্রিদমান সমীকরণ উপপাদনের পর কুণ্ডলাকার নীহারিকার ক্রম পশ্চাদপসারণের উপর ভিত্তি করে ল্যমেত্র্‌ প্রস্তাব করেন যে, মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন পরমাণু থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে, যে প্রস্তাব বর্তমানে মহা বিস্ফোরণ নামে পরিচিত।

এর দুই বছর পর এডুইন হাবল ল্যমেত্র্‌র তত্ত্বের সপক্ষে একটি পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণ উপস্থাপন করেন। তিনি আবিষ্কার করেন যে, পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান ছায়াপথসমূহ থেকে নিঃসৃত আলোর লোহিত অপসারণ হচ্ছে এবং এই অপসারণ পৃথিবী থেকে তাদের দূরত্বের সমানুপাতিক। অর্থাৎ একটি ছায়াপথ পৃথিবী থেকে যত দূরে তা থেকে নিঃসৃত আলোর বর্ণালীর মধ্যে ততই লাল আলো প্রকট হয়ে উঠছে। এই ঘটনাটি বর্তমানে হাবলের নীতি নামে পরিচিত।[৩][৪] বিশ্বতাত্ত্বিক নীতি অনুসারে মহাবিশ্বকে যখন যথেষ্ট বৃহৎ স্কেলের দূরত্বের সাপেক্ষে দেখা হয় তখন এর কোন নির্দিষ্ট বা বিশিষ্ট দিক ও স্থান পাওয়া যায় না। এই নীতিকে সত্য মেনেই হাবল প্রমাণ করেছিলেন যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু এই তত্ত্ব স্বয়ং আইনস্টাইন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অসীম এবং অপরিবর্তনীয় বিশ্বের তত্ত্বের সম্পূর্ণ বিরোধী।

ডব্লিউম্যাপ নামক কৃত্রিম উপগ্রহ মহা বিস্ফোরণ বোঝার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে - শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি

দুইটি স্বতন্ত্র সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ফ্রেড হয়েলের স্থির অবস্থা নকশা, যা অনুসারে মহাবিশ্ব যখন সম্প্রসারিত হতে শুরু করে তখন এখানে নতুন পদার্থ সৃষ্টি হতে পারে। এই নকশা অনুসারে সময়ের যে কোন বিন্দুতে মহাবিশ্ব একইরকম থাকে। অন্যটি হল ল্যমেত্র্‌র মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব যা মূলত জর্জ গ্যামফ কর্তৃক পূর্ণতা লাভ করেছে। ল্যমেত্র্‌র এই তত্ত্বটির নাম কিন্তু হয়েলই দিয়েছিলেন। হয়েল ১৯৪৯ সালের ২৮শে মার্চ বিবিসিতে প্রচারিত থার্ড প্রোগ্রাম নামক অনুষ্ঠানে অনেকটাই শ্লেষের বশে ল্যমেত্র্‌র এই তত্ত্বটিকে "বিগ ব্যাং" বলে আখ্যায়িত করেন যার দ্বারা একটি বিশাল গণ্ডগোলই বুঝায়। এর পরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে এই নামটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিশেষত ১৯৫০ সালে "বস্তুর ধর্মের" উপর প্রদত্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় ল্যমেত্র্‌র তত্ত্বকে বোঝানোর জন্য তিনি এই নাম ব্যবহার করেন। বক্তৃতা প্রচারিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এর প্রতিটি দ্য লিসেনার পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। এই পত্রিকাতেই "বিগ ব্যাং" নামটি প্রথম ছাপার অক্ষরে ব্যবহৃত হয়। হয়েল এবং ল্যমেত্র্‌ কর্তৃক প্রস্তাবিত এই দুটি নকশা ছাড়াও মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে বেশ কিছু নকশা প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মাইন নকশা (Milne model), রিচার্ড টলম্যান কর্তৃক প্রস্তাবিত কম্পনশীল মহাবিশ্ব এবং ফ্রিৎস জুইকি প্রস্তাবিত দুর্বল আলো প্রকল্প।

কিছু সময়ের জন্য স্থির অবস্থা এবং মহা বিস্ফোরণ দুইটি তত্ত্বেরই যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা ছিল বিধায় বিতর্কেরও অবকাশ ছিল প্রচুর। কিন্তু সময়ের আবর্তে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সাধিত হয় যার অধিকাংশই প্রথমটির বদলে দ্বিতীয় তত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতার সাক্ষ্য দেয়। ১৯৬৪ সালে মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ আবিষ্কৃত হওয়ার পর মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিবর্তন ব্যাখ্যার জন্য সবচেয়ে উপযোগী তত্ত্ব হিসেবে গৃহীত হয়। আধুনিক কালে বিশ্বতাত্ত্বিক গবেষণার অন্যতম একটি বিষয়ই হচ্ছে মহা বিস্ফোরণ তত্ত্বের আলোকে ছায়াপথসমূহের সৃষ্টি ও বিবর্তন প্রক্রিয়া উদ্‌ঘাটন করা। এছাড়াও ঠিক কি কারণে এবং কিভাবে মহা বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিলো তা বিশ্বতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হয়। মহা বিস্ফোরণের মূল তত্ত্বের সাথে বাস্তব পর্যবেক্ষণের সমন্বয় সাধনের উপরই বর্তমান বিশ্বতত্ত্বের অগ্রগতি অনেকাংশে নির্ভর করছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে মহা বিস্ফোরণ সংশ্লিষ্ট গবেষণা অনেক সহজ হয়ে দাড়িয়েছে। অতি উচ্চ ক্ষমতাবিশিষ্ট দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং এর সঠিক কার্যকারিতা একে সম্ভব করে তুলেছে। বর্তমানে মানুষের রয়েছে কোবে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং ডব্লিউম্যাপ 'র মত উচ্চ ক্ষমতার দুরবিন। ফলে বর্তমান বিশ্বতত্ত্ববিদরা অনেক সহজে মহা বিস্ফোরণের বিভিন্ন রাশি পরিমাপ করতে পারে। এর ফলে একটি অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে; আর তা হলো সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ত্বরমান হওয়ার প্রমাণ (দেখুন: গুপ্ত শক্তি)।

মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব কি ?

আজ থেকে প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে এই মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। এই ধারণাটিকেই ভৌত বিশ্বতত্ত্বে মহা বিস্ফোরণ বা বৃহৎ বিস্ফোরণ বলে বোঝানো হয়। বিজ্ঞানী এডুইন হাবল প্রথম বলেন, দূরবর্তী ছায়াপথসমূহের বেগ একসাথে করে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা পরষ্পর দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের ফ্রিদমান-ল্যমেত্র্‌-রবার্টসন-ওয়াকার নকশা অনুসারে এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই তত্ত্বসমূহের সাহায্যে অতীত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সমগ্র মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন বিন্দু অবস্থা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই অবস্থায় সকল পদার্থ এবং শক্তি অতি উত্তপ্ত এবং ঘন অবস্থায় ছিল। কিন্তু এই অবস্থার আগে কি ছিল তা নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন ঐক্য নেই। অবশ্য সাধারণ আপেক্ষিকতা এর আগের সময়ের ব্যাখ্যার জন্য মহাকর্ষীয় অদ্বৈত বিন্দু নামক একটি শব্দের প্রস্তাব করেছে।

মহা বিস্ফোরণ শব্দটি স্থূল অর্থে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, আবার অন্যদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে বিশ্বতত্ত্বে যে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে তাকেও বোঝায়। এর মাধ্যমেই মহাবিশ্বের প্রাচীনতম বস্তুসমূহের গঠন সম্পর্কে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যার জন্য মহা বিস্ফোরণ মতবাদের পরই আলফার-বেটে-গ্যামফ তত্ত্ব প্রণীত হয়েছে। মহা বিস্ফোরণের একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হল, বর্তমানকালে মহাবিশ্বের অবস্থা অতীত এবং ভবিষ্যতের অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এই তত্ত্বের মাধ্যমেই ১৯৪৮ সালে জর্জ গ্যামফ অনুমান করতে পেরেছিলেন যে মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণের অস্তিত্ব রয়েছে। ১৯৬০-এর দশকে এটি আবিষ্কৃত হয় এবং স্থির অবস্থা তত্ত্বকে অনেকটাই বাতিল করে মহা বিস্ফোরণ তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়।

ধ্যান বা Meditation আসলে কি ?

মেডিটেশন বা ধ্যান নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই নানান ধরনের প্রশ্ন আছে । তাছাড়া এই মেডিটেশন বা ধ্যান শিখতেও প্রচুর অর্থ ব্যায় করতে হয় । যা সবার পক্ষে এত টাকা ব্যায় করে ধ্যান করা শেখাটা সম্ভব নয় । তাই সবার কথা চিন্তা করে এখানে এ বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হবে । কারো কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যে আপনার প্রশ্ন রাখুন । পরবর্তি সপ্তাহের মধ্যে আপনার উত্তর দেয়া হবে । আর এ জন্য আপনাকে অবশ্যই "বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার" টি ব্যবহার করতে হবে । সাইড বারের টপে দেখুন ।

আজকের বিষয় মেডিটেশন বা ধ্যান কি ?

একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা চিন্তার উপর গভীরভাবে মনোনিবেশ বা মনকে কেন্দ্রীভূত করাকেই মেডিটেশন বা ধ্যান বলে । কোন নির্দিষ্ট কাজ , চিন্তা বা বিষয়কে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিক্ষিপ্ত মনের বিরুদ্ধে কাজ করে মনসংযোগ করাই মূলতঃ ধ্যান । প্রত্যেক ধর্মেই এই ধ্যানকে বিভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয় । যেমন - প্রার্থনা , উপাসনা , আত্ন সম্মোহন , নিজের মধ্যে প্রবেশ , গভীর আবেশায়ন , গভীর চিন্তা ইত্যাদি ।

মেডিটেশনের সংজ্ঞা এভাবে দেয়া যেতে পারে । যেমন -

* সব ধরনের ব্যস্ততা থেকে মনকে সরিয়ে এনে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ভাল লাগার বিষয়ে মনোনিবেশ করা ।

* মনের এমন একটা অবস্থান , যেখানে জগতের সকল বিক্ষিপ্ত বা দূষিত চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে , মনকে গভীরভাবে নির্দিষ্ট দিকে বিশুদ্ধ কাজ করানো ।

* বর্তমান বাস্তবতার উপর একাগ্রতা অর্জন ।

* ধর্মীয় অবয়ব বা নিজের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বা কোন বাণীর দিকে মনকে ধাবিত করা ।

* মহা শক্তির কাছে নিজেকে সমর্পণ করা বা প্রার্থনা করা ।

আবার একে ধর্মীয় উদ্দেশ্যেও ব্যাবহার করা যেতে পারে । পশ্চিমা সংস্কৃতিতে মেডিটেশন আসার আগেও এটা জাগতিক বিষয়ে ব্যবহৃত হত । যেমন - মার্শাল আর্ট এদের মধ্যে অন্যতম । আবার কিছু ধর্মীয় বা আধ্যাত্নিক গ্রুপ যেমন Yoga , New Age Movement ও Christianity -তেও এর কিছু সীমিত ব্যবহার আছে ।




ধারাবাহিকভাবে চলবে...

জয়নুল আবেদিন ফারুক এবং ইসলামী দলের ডাকা হরতাল


টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে তেমন কোন অঘটন না ঘটলেও হরতালের প্রথম দিনের ভোর বেলার ঘটনা ছিল খুবই অপ্রত্যাশিত । জয়নুল আবেদিন ফারুকের মিছিল নিয়ে সংসদ ভবনের দিকে এগোনো, পুলিশ এবং কামেরার সামনেই গাড়ি লক্ষ করে ঢিল ছোড়া, পুলিশ বাঁধা দিতে আসলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া, " কি করবি কর " বলে ধামক দেয়া, পরবর্তীতে ফারুককে এসি বিপ্লব সরকারের, " শুয়োরের বাচ্চা থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব " বলা এবং এসি বিপ্লব সরকার ও এডিসি হারুণের নেতৃত্বে ফারুকের কাপড় চোপড় খুলে মারধর সহ মাথা ফাটিয়ে দেয়া ছিল ঐদিন রাজনীতিতে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ।

এদিকে এসি বিপ্লব সরকার ও এডিসি হারুণের বিরুদ্ধেও জঘন্য সব অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে ।

হামলাকারী কে এই এডিসি হারুন ও এসি বিপ্লব

আমারদেশের নাছির উদ্দিন শোয়েবের রিপোর্টঃ

বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটসহ সমমনা ১৫টি দল আহূত ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিনে গতকাল এডিসি হারুন অর রশিদ ও এসি বিপ্লব কুমার সরকার বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে রক্তাক্ত জখম করেছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। বুকের ওপর উঠে বুট দিয়ে লাথি মেরেছে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। শুয়োরের বাচ্চা, চড় মেরে দাঁত ফেলে দিব বলে লাঠিয়াল বাহিনীর মতো তেড়ে গেছে। সংসদ ভবনের কাছে বিনা উস্কানিতে এসময় কয়েকজন মহিলা এমপিকেও তারা লাঞ্ছিত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফারুককে এমপি হোস্টেলে নিয়ে গেলে সেখানে গিয়েও তার ওপর হামলা চালায় পুলিশ।

সরকারের এই দুই অসভ্য-বর্বর পুলিশ অফিসারের পরিচয় কি?

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশের চাকরি নেয়া হারুন ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একসময় চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে চাকরি নেয়ার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখে ‘বেয়াদব’ হিসেবে পরিচিত হলেও নানা অপকর্ম করে অদৃশ্য কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যান।

এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বাড়ি হওয়ার সুবাদে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নাম ভাঙিয়ে তিনি নানা অপকর্ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে তিনি স্পিকারের ভাতিজা বলেও পরিচয় দেন। আর স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় দখলবাজির রাজত্ব কায়েম করেছেন বলেও অভিযোগ আছে।

গুলশানে এডিসি থাকাকালে একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ গুঁড়াদুধ ভেজাল বলে আটক করেন। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হওয়ার দাপটে তিনি সব সময়ই পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে চান। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেন এডিসি হারুন। এ অভিযোগ পাওয়ার পর ওই বিভাগের তত্কালীন ডিসি ঘটনার তদন্তে সত্যতা পেয়ে শাস্তি হিসেবে তাকে এপিবিএনে বদলি করা হয়। সেখানে যোগদান না করে তদবিরের মাধ্যমে তিনি ওই আদেশ বাতিল করে তেজগাঁও জোনে পোস্টিং নেন।

১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ করে হলে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ ছিল। ওই সময় ঘটনাটি পত্রিকায় ছাপা হয়। হারুনের স্ত্রী আমেরিকা প্রবাসী হওয়ার কারণে তিনি অনেক সময় ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। স্ত্রী আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুবাদে হারুনেরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব। মাঝে মাঝেই তিনি আমেরিকায় যান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তা তার মধ্যে রয়েছে বলেও তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। তার ঘনিষ্ঠ অনেকেই বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আলোচনায় এসে ভবিষ্যতে মিঠামইন এলাকা থেকে এমপি নির্বাচনে অংশ নেয়ারও খায়েশ রয়েছে হারুনের।

অন্যদিকে মোহাম্মদপুর জোনের এসি বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে চাকরি জীবনের শুরু থেকেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ২১তম বিসিএস ক্যাডারে চাকরি নেয়া বিপ্লব সরকার ছিলেন ছাত্রলীগ জগন্নাথ হল শাখার সেক্রেটারি। পুলিশ বিভাগে চাকরি হওয়ার পর নিজের অতীত কৃতকর্মের কথা ভেবে ২০০৩ সালের অক্টোবরে সারদায় ট্রেনিং করেই ডিভি ভিসা পেয়ে আমেরিকায় চলে যান। ৭ বছর আমেরিকায় থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসেন। পুলিশের ভাষায়, এসময় তিনি ছিলেন ফেরারি। কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন কর্মস্থলে না থাকায় তার বিরুদ্ধে জিডিও করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর অনুপস্থিত থেকে দেশে ফিরে রহস্যজনকভাবে পুনরায় চাকরি ফিরে পান তিনি। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিপ্লবের স্ত্রী ভারতে পড়াশোনা করছে। কিছুদিন পর পর তিনি ভারতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কাটিয়ে আসেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ সদরের বাসিন্দা বিপ্লবকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জোনে বদলি করা হয়। তিনি জয়নুল আবদিন ফারুককে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।
তাদের অ্যাকশন দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন—পুলিশের পোশাকে এরা আসলে কারা? আওয়ামী লীগ এমপি-মন্ত্রীদের নজর কাড়তেই হরতালে অতিউত্সাহী সাবেক এই ছাত্রলীগ ক্যাডার হারুন অর রশিদ এবং বিপ্লব কুমার সরকার সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সফল হয়েছেন।

এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদ জানান, তিনি জয়নুল আবদিন ফারুককে মারধর করেননি। গাড়ি ভাংচুরে বাধা দিলে ধস্তাধস্তিতে হয়তো মাটিতে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিপ্লব সরকারও একই সুরে নিজের অপকর্মের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিরোধী দলের চিফ হুইপসহ কয়েকজন এমপিকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছে মাত্র। লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত করা এবং অকথ্য ভাষায় গালি দেয়ার দৃশ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করা হলেও এই দুই পুলিশ সদস্য সব কিছুই অস্বীকার করেন।



এখন কথা হল জয়নুল আবেদিন ফারুখই কেন ঢিল ছুরলেন, পুলিশের সঙ্গে উদ্ধতপূ্র্ণ মাস্তানি করলেন, পুলিশই বা কেন এভাবে দেশের শির্ষ দলের চীফ হুইপের উপর আক্রমণ করল বা সাহস পেল এভাবে আক্রমণ করার । আসলে এ ধরনের ঘটনা অতিতেও আমরা বহুবার দেখেছি । সরকারে যে দলই থাকুক না কেন, বিরোধী দলের মিছিলে কিংবা বিশেষ বিশেষ নেতার উপর ছলে বলে কৌশলে নির্মম ভাবে আক্রমণ করা হয় । আর দলেরই কিছু কিছু নেতা খুবই উশৃঙ্খল এবং মারমুখি মাস্তানের মত । তাদের কেউ কেউ চিন্হিত সন্ত্রাসীও বটে, যারা একসময় বিরোধী দলের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে এমনকি ক্যামেরার সামনেও মারামারিতে অংশ নিয়েছেন । শীর্ষ দুই দলেরই হাই কমান্ড বেছে বেছে তাদেরকেই দলের সর্বচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন ।

ইসলামী দলগুলোর ১০ ও ১১ জুলাই টানা ৩০ ঘণ্টার ডাকা হরতালের প্রথম দিনের সকালের পুলিশ ও বিরোধী দলের সঙ্গে সংঘর্ষ ছিল দেখার মত । সেদিন পুলিশের চেয়ে সরকারি দলের অ্যাকশন দেখে মনে হয়েছে, সেখানে পুলিশের কোন প্রয়োজন ছিল না । উঠতি বয়সের অনভিজ্ঞ ছেলেদেরকেই মাঠে নামানো হয়েছিল হাই কমান্ডের নির্দেশে । দুঃখের বিষয় সব রাজনৈতিক দলগুলোই বিরোধী দলের সাথে অত্যন্ত বৈরি আচরণের মাধ্যমে স্বার্থ সিদ্ধি করার চেষ্টা করছে । যা সবসময়ই অত্যন্ত ক্ষতি সাধন করে । অথচ একটু ঠান্ডা মাথায় পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে অন্তত হাজারটা উপায় আছে , যাতে নৃশংসতা এড়িয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সঠিক পথে সমাধান সম্ভব । তাহলে কেন এই নৃশংসতা । নিশ্চয়ই এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ জীজ্ঞাসা ।

চলবে..

পূর্বের প্রবন্ধ দেখুন

৬ দিনের কর্মবিরতি, আপনার লাভ ?



আজ থেকে বিরোধী দলের ডাকা ৪ দিনের হরতাল । ৬,৭ ও ১০,১১ জুলাই তারিখ হরতাল মাঝে ৮,৯ জুলাই সরকারি ছুটি । অর্থাৎ ৬ দিনের ক্র্ম বিরতি । তাতে কার লাভ কার ক্ষতি । আপনি জানেন কি ? তাহলে আপনার গৃরূত্বপূ্র্ণ মতামত দিয়ে দেশের দুই নেত্রীকে সাহায্য করুন ।

পৃথিবীর সব দেশেই রাজনীতি খারাপ আবহে বিরাজ করে । রাজনীতি একটা নোংরা জায়গা । তার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি চূড়ান্ত নোংড়ামিতে পরিপূ্র্ণ । যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের আধিপত্য সর্বত্র বিরাজ করে । রাজনীতির উদ্দেশ্য দেশের সার্বভৌমত্য রক্ষা করা হলেও রাজনীতিতে যারা আসেন তাদের প্রধান এবং কারো কারো একমাত্র উদ্দেশ্যই থাকে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হওয়া । আর তার জন্য দুর্ণীতির কোন বিকল্প নেই । যেহেতু দুর্নীতি কোন সৎ লোকের পক্ষে করা সম্ভব নয়, তাই রাজনীতিতে কোন সৎ লোককে আগ্রহী হতে দেখা যায় না । সাধারণত ব্যাবসায়ীরাই তাদের ব্যাবসা সৎ ভাবে পরিচালনা না করতে পেরে অসৎভাবে বিশাল আয়তনে ব্যাবসার পরিধি বাড়ানোর জন্যই দেশের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শরণাপন্ন হন । দুই দলেরই হাই কমান্ড এ ব্যাপারে অবগত এবং অনেক সময়ই তারা দল চালানোর জন্যই অর্থের যোগান দাতা হিসেবে এসব অসৎ ব্যাবসায়ীদের, কখনো কখনো এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী বা পলাতক আসামীদেরও দলের সদস্য করে নেন ।

শুধু তাই নয় শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলই বিরোধী দলে থাকা অবস্হায় বিভিন্ন দেশ সফর করে শীর্ষ নেতাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন সরকারী দলকে বিপদে ফেলার জন্য । আর তার জন্য দিতে হয় বিপুল পরিমান ব্যাবসায়ীক প্রতিশ্রুতি যা কখনো কখনো দেশের মারাত্নক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দেখা দেয় । আর এসব কিছুই ঘটে অর্থাৎ বলা যায় বর্তমান রাজনীতি চলছেই বিপুল অর্থ ও ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে । যা আমাদের দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলই দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছেন । এমনকি দলের ভিতরের কেউ এসব বিষয়ে সৎভাবে কিছু করার আহবান করলে তাদের পক্ষে দলে অবস্হান করাটাই কিংবা কখনো কখনো বেঁচে থাকাটাই দুঃসহ হয়ে পড়ে । কেননা শীর্ষ দুই দলই এখন পারিবারিক সম্পত্তি ।


ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে শীর্ষ দুই দলই প্রতিশ্রুতি দেয় বিরোধী দলে থাকা অবস্হায় তারা হরতালের মত ঘৃন্য কাজ করবে না । কিন্ত বিরোধী দলে গিয়ে তারা নানা অজুহাতে ঠিকই হরতাল দেয় । বলে দেশের ক্ষতি হলেও দেশ বাঁচাতেই তারা হরতাল দিয়েছে ।


দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে গেলে দেখা যায় সরকারী দলের ছেলেরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোড়াফেরা করে । বিশেষ বিশেষ সময়ে পুলিশের সামনেই এ ধরনের তত্পরতা ভিষণ ভাবে বেড়ে যায় । প্রশাসন তখন নির্বিকার থাকতে বাধ্য । কেননা হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করা বিপদজনক । আর আইন বাহিনীকে ব্যবহারের এ সুবর্ণ সুযোগের জন্যই কোন দলই আইন রক্ষাকারী বাহিনীকে আজও পর্যন্ত স্বাধীন করেনি ।

সারা দেশ জুড়েই দেখা যায় ছাত্রাবাস গুলো শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই শুরু হয় দখল পাল্টা দখলের খেলা । কেন ? কারণ ছাত্রদের দিয়ে যে কোন কাজ করানো যায় । হল দখল, এলাকা দখল, সন্ত্রাস, মোট কথা সবই সম্ভব, এমনকি দেশের ক্ষমতা দখল পর্যন্ত সবই । ছাত্রদের দিয়ে কাজ করানোর কিছু সুবিধা আছে । যেমন- তাদের বেশির ভাগের দূরদৃষ্টি কম থাকে, সাধারণত তাদের বেশির ভাগই চিন্তা না করেই করে কিংবা অন্যের দেখাদেখিই করে ভাল-মন্দের বিচার অনুপস্হিত রেখে । তাদের ব্রেইন ওয়াশ করাটা খুবই সহজ । কারণ তাদের প্রশ্ন করার ক্ষমতা থাকে কম, অনেকে অতি ভদ্রতা বঃশতও করে না বেয়াদবি মনে করে । আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল পুলিশের খাতায় তাদের নাম নেই । এই অনভিঙ্গ ছাত্র সমাজকে দিয়েই দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো তাদের হিংসা, প্রতিহিংসা এবং ইচ্ছা গুলো চরিতার্থ করছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ।


এই নেতারা কিংবা দলগুলো হয়ত এক সময় থাকবে না । কিন্তু আমাদের এই একমাত্র মাতৃভূমি সোনার দেশ মুখ থুবড়ে পড়ছে প্রতিমূহুর্তে শুধুমাত্র এদের কারণে । আর আমরা অথৈ জলের ভেতর থেকে দেখছি কেবল জলের বেড়ে ওঠা । প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন আপনাদের ভবিষ্যত কি কিংবা কোথায় ? কোথায় গিয়ে ঠেকবে আমাদের দেশ ? আর কতদিন দেখব দুই নেত্রীর প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি ? বলতে পারেন ?

পরবর্তি প্রবন্ধে দেখুন