Home | Menu | Poem | Jokes | Games | Science | Biography | Celibrity Video | Dictionary

৬ দিনের কর্মবিরতি, আপনার লাভ ?



আজ থেকে বিরোধী দলের ডাকা ৪ দিনের হরতাল । ৬,৭ ও ১০,১১ জুলাই তারিখ হরতাল মাঝে ৮,৯ জুলাই সরকারি ছুটি । অর্থাৎ ৬ দিনের ক্র্ম বিরতি । তাতে কার লাভ কার ক্ষতি । আপনি জানেন কি ? তাহলে আপনার গৃরূত্বপূ্র্ণ মতামত দিয়ে দেশের দুই নেত্রীকে সাহায্য করুন ।

পৃথিবীর সব দেশেই রাজনীতি খারাপ আবহে বিরাজ করে । রাজনীতি একটা নোংরা জায়গা । তার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি চূড়ান্ত নোংড়ামিতে পরিপূ্র্ণ । যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের আধিপত্য সর্বত্র বিরাজ করে । রাজনীতির উদ্দেশ্য দেশের সার্বভৌমত্য রক্ষা করা হলেও রাজনীতিতে যারা আসেন তাদের প্রধান এবং কারো কারো একমাত্র উদ্দেশ্যই থাকে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হওয়া । আর তার জন্য দুর্ণীতির কোন বিকল্প নেই । যেহেতু দুর্নীতি কোন সৎ লোকের পক্ষে করা সম্ভব নয়, তাই রাজনীতিতে কোন সৎ লোককে আগ্রহী হতে দেখা যায় না । সাধারণত ব্যাবসায়ীরাই তাদের ব্যাবসা সৎ ভাবে পরিচালনা না করতে পেরে অসৎভাবে বিশাল আয়তনে ব্যাবসার পরিধি বাড়ানোর জন্যই দেশের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শরণাপন্ন হন । দুই দলেরই হাই কমান্ড এ ব্যাপারে অবগত এবং অনেক সময়ই তারা দল চালানোর জন্যই অর্থের যোগান দাতা হিসেবে এসব অসৎ ব্যাবসায়ীদের, কখনো কখনো এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী বা পলাতক আসামীদেরও দলের সদস্য করে নেন ।

শুধু তাই নয় শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলই বিরোধী দলে থাকা অবস্হায় বিভিন্ন দেশ সফর করে শীর্ষ নেতাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন সরকারী দলকে বিপদে ফেলার জন্য । আর তার জন্য দিতে হয় বিপুল পরিমান ব্যাবসায়ীক প্রতিশ্রুতি যা কখনো কখনো দেশের মারাত্নক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দেখা দেয় । আর এসব কিছুই ঘটে অর্থাৎ বলা যায় বর্তমান রাজনীতি চলছেই বিপুল অর্থ ও ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে । যা আমাদের দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলই দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছেন । এমনকি দলের ভিতরের কেউ এসব বিষয়ে সৎভাবে কিছু করার আহবান করলে তাদের পক্ষে দলে অবস্হান করাটাই কিংবা কখনো কখনো বেঁচে থাকাটাই দুঃসহ হয়ে পড়ে । কেননা শীর্ষ দুই দলই এখন পারিবারিক সম্পত্তি ।


ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে শীর্ষ দুই দলই প্রতিশ্রুতি দেয় বিরোধী দলে থাকা অবস্হায় তারা হরতালের মত ঘৃন্য কাজ করবে না । কিন্ত বিরোধী দলে গিয়ে তারা নানা অজুহাতে ঠিকই হরতাল দেয় । বলে দেশের ক্ষতি হলেও দেশ বাঁচাতেই তারা হরতাল দিয়েছে ।


দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে গেলে দেখা যায় সরকারী দলের ছেলেরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোড়াফেরা করে । বিশেষ বিশেষ সময়ে পুলিশের সামনেই এ ধরনের তত্পরতা ভিষণ ভাবে বেড়ে যায় । প্রশাসন তখন নির্বিকার থাকতে বাধ্য । কেননা হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করা বিপদজনক । আর আইন বাহিনীকে ব্যবহারের এ সুবর্ণ সুযোগের জন্যই কোন দলই আইন রক্ষাকারী বাহিনীকে আজও পর্যন্ত স্বাধীন করেনি ।

সারা দেশ জুড়েই দেখা যায় ছাত্রাবাস গুলো শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই শুরু হয় দখল পাল্টা দখলের খেলা । কেন ? কারণ ছাত্রদের দিয়ে যে কোন কাজ করানো যায় । হল দখল, এলাকা দখল, সন্ত্রাস, মোট কথা সবই সম্ভব, এমনকি দেশের ক্ষমতা দখল পর্যন্ত সবই । ছাত্রদের দিয়ে কাজ করানোর কিছু সুবিধা আছে । যেমন- তাদের বেশির ভাগের দূরদৃষ্টি কম থাকে, সাধারণত তাদের বেশির ভাগই চিন্তা না করেই করে কিংবা অন্যের দেখাদেখিই করে ভাল-মন্দের বিচার অনুপস্হিত রেখে । তাদের ব্রেইন ওয়াশ করাটা খুবই সহজ । কারণ তাদের প্রশ্ন করার ক্ষমতা থাকে কম, অনেকে অতি ভদ্রতা বঃশতও করে না বেয়াদবি মনে করে । আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল পুলিশের খাতায় তাদের নাম নেই । এই অনভিঙ্গ ছাত্র সমাজকে দিয়েই দেশের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো তাদের হিংসা, প্রতিহিংসা এবং ইচ্ছা গুলো চরিতার্থ করছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ।


এই নেতারা কিংবা দলগুলো হয়ত এক সময় থাকবে না । কিন্তু আমাদের এই একমাত্র মাতৃভূমি সোনার দেশ মুখ থুবড়ে পড়ছে প্রতিমূহুর্তে শুধুমাত্র এদের কারণে । আর আমরা অথৈ জলের ভেতর থেকে দেখছি কেবল জলের বেড়ে ওঠা । প্রিয় পাঠক আপনারা কি জানেন আপনাদের ভবিষ্যত কি কিংবা কোথায় ? কোথায় গিয়ে ঠেকবে আমাদের দেশ ? আর কতদিন দেখব দুই নেত্রীর প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি ? বলতে পারেন ?

পরবর্তি প্রবন্ধে দেখুন